• প্রশাসন
  • লিড নিউজ

পঞ্চগড়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক

  • প্রশাসন
  • লিড নিউজ
  • ০৮ মে, ২০২৪ ২১:২৬:৩৩

ছবিঃ সিএনআই

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত দুই যুবকেরা হলেন উপজেলার তিরনইহাট ব্রহ্মতল এলাকার কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী (২৩) ও একই উপজেলার মাগুরা এলাকার জুলু মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল (২৪)। বুধবার (৮ মে) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া দর্গাসিং এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মহানন্দা নদীর পাশে এ ঘটনায় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এ সময় তারা আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফেরত দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএসএফ। উক্ত বৈঠকে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল যুবায়েদ হাসান ও ১৭৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী এসএস সিরোহী উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলের পর তিরনইহাট ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন ও শামসুল হক ইয়াসিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৩ টার দিকে তারা সীমান্তে গুলির শব্দ শুনতে পান।

সকালে জানা যায় ওই দুই তরুণকে গুলি করে হত্যার পর ফেলে রেখেছে বিএসএফ। ভারতের স্থানীয়দের মাধ্যমে ছবি পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয় দুই যুবকের পরিবার। এদিকে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল করে রাতে জলিলকে মাগুড়ায় নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে জানান তার মা জহুরা বেগম।নিহত ইয়াসিন আলীর মা জবেদা বেগম বলেন, তিরনইহাট ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন ও শামসুল হক আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

আমি ছেলেকে যেতে নিষেধ করি। ইয়াসিন বলে দোকানের সামনে থেকেই চলে আসবে। সকালে মানুষের কাছে খবর পাই আমার ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য ওই চারজন দায়ী। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার ছেলে মাত্র একমাস হলো বিয়ে করেছে। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেলো। তারা যেন দ্রুত আমার ছেলের লাশটা ফিরিয়ে দেয়।

আগেই আমি আমার ছেলেকে শপথ করিয়েছিলাম সীমান্তে গেলে আমার মরা মুখ দেখবি। ও কথা শুনলো না।পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, আমরা পতাকা বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকান্ডের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা বলেছি সীমান্তে মানুষ হত্যা করে দুই দেশের বন্ধুত্ব রক্ষা করা যায় না।

আমরা বলেছি যে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া যেতো। এছাড়া ফাঁকা গুলি কিংবা পায়ে গুলি করা যেতো। কিন্তু তারা তা করেনি। তারা জানিয়েছে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি করতে বাধ্য হয়েছে। ওই যুবকরা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করেছিলো। তারা প্রতিহত করতেই গুলি ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তারা মরদেহ ফিরিয়ে দেবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo