• অপরাধ ও দুর্নীতি

দিনাজপুরে যৌতুকের মোটর সাইকেলে চড়ে ছিনতাই, চক্রের ২ জন গ্রেপ্তার

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৩১:০০

ছবিঃ সিএনআই

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর শহরে মোটর সাইকেল চালিয়ে পথচারিদের স্বর্নালংকার এবং মোবাইল ফোন ছিনতাই চক্রে জড়িত আরো দুইজন যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।  একই সাথে  জড়িতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই করা মালামাল। পাশাপাশি জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলসহ ব্যবহৃত পোষাকসহ বিভিন্ন উপকরন। সর্বশেষ ২৬ মার্চ দিন দুপুরে শহরের বাসুনিয়াপট্রি সড়কে স্বর্নালংকার ছিনতাইসহ চলতি মাসেই ৫ টি ছিনতাইয়ের ঘটনা উদঘাটনে সফলতা দেখিয়েছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাত আল মামুন আজ শুক্রবার গন মাধ্যমকর্মীদের জানান, শ্বশুরের কাছে যৌতুক হিসেবে পাওয়া দুই লক্ষাধিক মূল্যের একটি দেড়শ (150 Cc) সিসি'র জিক্সার মোটর সাইকেল চালিয়ে  গত ২৬ মার্চ দিন দুপুরে শহরের বাসুনিয়াপট্রিতে চলন্ত ইজি বাইকের আরোহি আরিফা ইসলামের গলার স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে পালিয়ে যায় আকাশ এবং জুয়েল নামে দুই ছিনতাইকারি। এঘটনায় ২৮ মার্চ থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান আকাশ (২২) শহরতলী শেখপুরা মহল্লার আব্দুর রহমানের ছেলে।

সে আপট্যাচ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র। সঙ্গী জুয়েল (২২) একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তারা উভয়ে বিবাহিত। জানা গেছে, মামলার রেকর্ডের পরপরই পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিম সুপার  অভিযানে আব্দুল্লাহ আল মাসুম বিল্লাহের নির্দশনা মতে অভিযানে নামেন কোতয়ালী থানা ইনচার্জ ফরিদ হোসেন, ইন্সপেক্টর তদন্ত এ এফ এম মনিরুজ্জামান মনির মন্ডল এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক ইন্দ্র মোহন রায়সহ অন্যান্যরা অভিযানে নেমেই প্রথমে ওই এলাকার আবাসিক সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে দ্রুততম সময়ে জড়িতদের সনাক্ত করে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় আকাশ এবং জুয়েলকে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্বর্নের চেইন গলানোয় জড়িত একজন কারিগরকে সনাক্তের পর  জেলা শহরের চকবাজারে "শীষ মহল" নামক একটি স্বর্নালংকারের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৬ আনার অধিক পরিমানের ওই গলানো স্বর্ন উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল, পরনের কাপড় জব্দ করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে আজ শুক্রবার উভয়ে আদালতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাত আল মামুন আরো জানান, চলতি মাসেই ৫ টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত গ্রেপ্তারসহ মালামাল উদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন তারা।

পাশাপাশি তিনি প্রতিটি বাসাবাড়ী ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে সিসি টিভি স্হাপন এবং কমপক্ষে একটি করে ক্যামেরা বাইরে সড়ক পথে স্হাপন করে অপরাধি নির্মুলে নাগরিকদের প্রতি আবহান জানিয়েছেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক ইন্দ্র মহন রায় জানান, অপরাধের ধরন দেখে তারা ধারনা করছেন, গ্রেপ্তার আকাশ এবং জুয়েল হয়তঃ দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারে। সিসিটিভির ফুটেজের কল্যানে প্রথম বারের মত ধরা পড়ে আইনের আওতায় এসেছে তারা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo